চীন ভারত সীমান্ত এবং আন্তর্জাতিক রাজনীতি
চীন এবং ভারত সীমান্ত নিয়ে নানান মুখে নানা ধরণের আলোচনা রয়েছে তবে হ্যা এমন একটা সময় ছিল যখন চীন ভারত সম্পর্কে আপনার জানার আগ্ৰাহ বিস্ময়কর তথ্য দিবে ।
এমন একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় নিউজে লেখা হত
চীনে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিক শৈবাল দাসগুপ্ত বলছেন, “ভারত আর চীনের মধ্যে একটা সমঝোতা আছে যে যতই মতভেদ হোক, সীমান্তে উত্তেজনা কোনও দেশই বাড়তে দেবে না।
অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন চীনে এসেছিলেন, সেই সময়েই রাজনৈতিক প্রেক্ষিতটা তৈরি হয়েছিল। পরে মনমোহন সিংয়ের আমলেও সেই একই নীতি অনুসরণ করা হয়েছে।”
“দুটো দেশের মধ্যে এরকম সিদ্ধান্ত রয়েছে যে ফ্রন্ট লাইনে যেসব সেনা সদস্য মোতায়েন থাকবেন, তাঁদের কাছে কোনও রকম অস্ত্র থাকবে না। যদি সেনা র্যাঙ্ক অনুযায়ী কোনও অফিসারের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা নিয়ম হয়, তাহলে তার নল মাটির দিকে ঘুরিয়ে রাখা থাকবে। সেজন্যই দুই দেশের সেনাসদস্যদের হাতাহাতি বা কুস্তি করার ভিডিও দেখা যায়, কোথাও গুলি বিনিময়ের ছবি দেখা যায় না। পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এরকম কোনও চুক্তি নেই,” বলছিলেন মি. দাশগুপ্ত।

তাহলে হঠাৎ চীনের রূপ কেন ভয়ংকর হচ্ছে ?
লাদাখ নিয়ে বুধবার দুপুরে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার ভারতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি।
সোমবার গভীর রাতের ঘটনা। লাদাখের সুউচ্চ পর্বতমালায় গালওয়ান নদীর পূর্ব পার ধরে পেট্রোলিংয়ে বেরিয়েছিল ভারতীয় সেনার বিহার রেজিমেন্টের একটি পেট্রোলপার্টি। তাদের সঙ্গেই চীনের সেনার তীব্র সংঘাত হয়।
গত প্রায় এক মাস ধরে এই অঞ্চলটি নিয়ে বিতর্ক চলছে । ভারতের অভিযোগ, লাইন অফ কন্ট্রোল উপেক্ষা করে ভারতে ঢুকে পড়েছে চীনের সেনা। চীনের পাল্টা অভিযোগও একই রকম। বিষয়টি নিয়ে সীমান্তে ভারত এবং চীনের সেনা একাধিকবার বচসা এবং হাতাহাতিতে জড়িয়েছে।
যদিও দুই পক্ষই সেনা এবং অস্ত্র মজুত করেছিল সীমান্তের খুব কাছে। তারই জেরে গত সপ্তাহে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয় সীমান্তে।